রমজান মাসের গুরুত্ব-ফজিলত ও মাসআলা মাসায়েল
পবিত্র রমজানুল মুবারক আমাদের মাঝে সমাগত। রসূল (স.) রোজাশুরু হওয়ার আগে তার সাহাবীদেরকে কিভাবে সচেতন করতেন নিম্নেরহাদীস হতে আমরা তা উপলব্ধি করতে পারি। হযরত সালমান ফারসী (রা.)প্রমুখ হতে বর্ণিত হয়েছে যে, শা’বান মাসের শেষ দিন রসূলুল্লাহ (স.)আমাদিগকে খুত্বা শুনালেন, যাতে তিনি বললেন—‘হে জনগণ! তোমাদেরওপর একটি মহান ও পবিত্র মাস আসছে, যার মধ্যে এমন একটি রাত্ররয়েছে যা হাজার রাত্র হতেও উত্তম।’ ‘যে মাসের দিনগুলোতে আল্লাহরোযাকে ফরয করেছেন এবং রাত্রিতে নামাযকে (তারাবীহকে) নফলকরেছেন (উম্মতের জন্য সুন্নত)।’
‘যে ব্যক্তি ঐ মাসে কোন একটি সদভ্যাস (বা সত্কাজ) করে তা ছওয়াবেরদিক দিয়ে অন্য মাসের একটি ফরয কার্যের সমতুল্য হয়ে থাকে।’ আরএকটি ফরয আদায় করলে, তা অন্য মাসের ৭০টি ফরয আদায়ের সমতুল্যছওয়াবের হয়ে থাকে। ‘এটা হল ধৈর্যের মাস। আর ধৈর্য অবলম্বনেরপ্রতিদান হচ্ছে বেহেশতে। এটা পরোপকার ও সহানুভূতির মাস এবং এটাএমন একটি মাস যাতে ঈমানদারগণের রুযী বৃদ্ধি করা হয়ে থাকে।’
‘এ মাসে যে ব্যক্তি কোন রোযাদারকে ইফতার করায়, ইহার বিনিময়ে তারসমস্ত গুণাহ মাফ হয়ে যায় এবং সে জাহান্নাম হতে মুক্ত হয়।’ ‘তাছাড়া সেউক্ত রোযাদার ব্যক্তির তুল্য ছওয়ারও পাবে। এতে অবশ্য উক্ত রোযাদারেরছওয়াবে একটুও কমতি করা হবে না।’
আমরা বললাম ইয়া রসূলুল্লাহ (স.)! আমাদের এমন কিছু সংস্থান নাই যাদ্বারা আমরা রোযাদারকে ইফতার করাতে পারি। তদুত্তরে হুযুর (স.)বললেন, ‘এই ছওয়াব আল্লাহতায়ালা ঐ ব্যক্তিকেও প্রদান করবেন, যেব্যক্তি কোন রোযাদারকে এক ঢোক দুধ বা একটি খোরমা কিংবা সুমিষ্টপানি দ্বারা ইফতার করাবে।’ ‘আর যে ব্যক্তি কোন রোযাদারকে পরিতৃপ্তকরে খাওয়াবে, আল্লাহ তাকে আমার ‘হাউজ কাওছার’ হতে এমনভাবেপর্যাপ্ত করে পান করাবেন যে, বেহেশতে না যাওয়া অবধি তার আরপিপাসা লাগবে না।
আর ঐ মাসের প্রথম দশক রহমতের, দ্বিতীয় দশক ক্ষমার ও তৃতীয় দশকজাহান্নাম হতে মুক্তির জন্য নির্ধারিত।’ ‘যে ব্যক্তি ঐ মাসে স্বীয় চাকরেরওপর কার্যভার লাঘব করে, আল্লাহ তাকে ক্ষমা করেন এবং জাহান্নাম হতেআযাদ করে দেন।’ প্রিয় রসূলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘রামাজান মাসের প্রথমরাত্রি সমাগত হতেই শয়তান ও দুষ্টমতি জ্বিনগুলো শৃঙ্খলিত হয় এবংজাহান্নামের দ্বারগুলো রুদ্ধ করে দেয়া হয়, একটি দরোজাও মুক্ত থাকে না।আর বেহেশতের দ্বারগুলো খুলে দেয়া হয়, ইহার একটাও বন্ধ থাকে না।’
আর কোন একজন গায়েবী আহ্বানকারী উচ্চৈঃস্বরে বলতে থাকেন যে, ‘হেপুণ্যার্থীগণ—অগ্রসর হও! হে পাপাত্মার দল—পিছিয়ে যাও! এইসময়আল্লাহর পক্ষ হতে বহু দোযখী মুক্তিপ্রাপ্ত হয়। এমনি করে প্রত্যেকরাত্রিতেই আহ্বান করা হয়।’ রসূলুল্লাহ (স.) আরো বলেছেন, ‘যে ব্যক্তিরামাজান মাসে ঈমানের সাথে ও ছওয়াবের আশায় রোযা রাখে, তারঅতীত গোণাহ মাফ হয়ে যায়।’ ‘আর যে ব্যক্তি এই মাসে ঈমানসহছওয়াবের আশায় রাত জেগে (তারাবীহ) নামায পড়ে, তার অতীত সকলগোনাহ মাফ করে দেয়া হয়।’
‘যে ব্যক্তি শবে ক্বদর রাতে ঈমানের সাথে ছওয়াবের আশায় রাত জাগরণকরে নামায পড়ে, তারও অতীত সকল গোনাহ মাফ করে দেয়া হয়।’হযরত নবীয়ে করীম (স.) বলেছেন, ‘মানুষের প্রত্যেক সত্কর্মের ছওয়াবদশ হতে সাতশত গুণ বৃদ্ধি হয়ে থাকে।’ তবে আল্লাহ বলেন, ‘কেবল রোযাব্যতীত। কেননা ইহা একমাত্র আমার জন্য সুতরাং ইহার পুরস্কার আমিইস্বহস্তে প্রদান করব। যেহেতু রোযাদার স্বীয় কামপ্রবৃত্তিকে দমন ওআহারাদি পরিহার করে থাকে কেবলমাত্র আমারই জন্য।’
হুযুর (স.) বলেছেন, ‘রোযাদারের জন্য দুইটি আনন্দ। একটি ইফ্তার কালেএবং অপরটি আল্লাহর সাথে দীদারকালে।’ তিনি আরো বলেন, ‘রোযাদারেরমুখের গন্ধ আল্লাহর নিকট মেশ্ক হতেও অধিক সুগন্ধময়। তিনি বলেন, (রোযাদারগণের পক্ষে) রোযা হচ্ছে ঢালস্বরূপ।’ ‘
আবু হুরায়রা রাঃ বলেন, রসূল সাঃ এরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি ঈমানেরসাথে ও সওয়াবের নিয়তে রমযানের রোযা রাখবে, তার পূবের সগীরাগুনাহসমূহ মাফ করা হবে এবং যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে ও সওয়াবেরনিয়তে রমযানের রাত্রি ইবাদতে কাটাবে, তার পূর্বের গুনাহসমূহ মাফকরা হবে। আর যে ঈমানের সাথে ও সওয়াবের নিয়তে ক্কদরের রাত্রিকাটাবে তার গুনাহসমূহ মাফ করা হবে। (বুখারী ও মুসলীম)
রসূল সাঃ এরশাদ করেছেন,আল্লাহ তায়ালা বলেন মানব সন্তানের নেকআমল বাড়ানো হয়ে থাকে প্রত্যেক নেক আমল দশ গুন থেকে সাতশতগুন পর্যন্ত ,কেবল রোযা ব্যতীত। কারণ রোযা আমারই জন্য এবং আমিইতার প্রতিফল দান করব (যত ইচ্ছা তত)। বান্দা আমারই জন্য আপন প্রবৃত্তিও খানাপিনা ত্যাগ করে। রোযাদারের জন্য দুইটি (প্রধান)আনন্দ রযেছে।একটি তার ইফতারের সময় এবং অপরটি বেহেস্তে আপনপরওয়ারদিগারের সাথে সাক্ষাত লাভের সময়। নিশ্চয় রোযাদারের মুখেরগন্ধ আল্লাহর নিকট মিশকের খুশবো অপেক্ষাও অধিক সুগন্ধময়। রোযাহচ্ছে মানুষের জন্য দোযখের আগুন হতে রক্ষার ঢাল স্বরুপ। সুতরাং যখনতোমাদের কারও রোযার দিন আসে, সে যেন অশ্লীল কথা না বলেএবংঅনর্থক শোরগোল না করে। যদি কেউ তাকে গালি দেয় অথবা তার সাথেঝগড়া করতে চায়, সে যেন বলে আমি একজন রোযাদার। (বুখারীওমুসলীম)
রসূল সাঃ এরশাদ করেছেন,আল্লাহ তায়ালা বলেন মানব সন্তানের নেকআমল বাড়ানো হয়ে থাকে প্রত্যেক নেক আমল দশ গুন থেকে সাতশতগুন পর্যন্ত ,কেবল রোযা ব্যতীত। কারণ রোযা আমারই জন্য এবং আমিইতার প্রতিফল দান করব (যত ইচ্ছা তত)। বান্দা আমারই জন্য আপন প্রবৃত্তিও খানাপিনা ত্যাগ করে। রোযাদারের জন্য দুইটি (প্রধান)আনন্দ রযেছে।একটি তার ইফতারের সময় এবং অপরটি বেহেস্তে আপনপরওয়ারদিগারের সাথে সাক্ষাত লাভের সময়। নিশ্চয় রোযাদারের মুখেরগন্ধ আল্লাহর নিকট মিশকের খুশবো অপেক্ষাও অধিক সুগন্ধময়। রোযাহচ্ছে মানুষের জন্য দোযখের আগুন হতে রক্ষার ঢাল স্বরুপ। সুতরাং যখনতোমাদের কারও রোযার দিন আসে, সে যেন অশ্লীল কথা না বলেএবংঅনর্থক শোরগোল না করে। যদি কেউ তাকে গালি দেয় অথবা তার সাথেঝগড়া করতে চায়, সে যেন বলে আমি একজন রোযাদার। (বুখারীওমুসলীম)
রোযা মানব শরীরে কোন ক্ষতি করে না
মানব শরীরের উপর রোযার প্রভাব সম্পর্কে গবেষণায় প্রমানিত হয় যে,রোযার দ্বারা মানব শরীরের কোন ক্ষতি হয় না কেবল ওজন সামান্য কমে,তাও উল্লেখযোগ্য কিছুই নয়। বরং শরীরের অতিরিক্ত মেদ কমাতে এইরুপআধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের খাদ্য নিয়ন্ত্রন তথা ডায়েট কন্ট্রোল অপেক্ষাবহুদিক দিয়ে শ্রেষ্ট। যারা মনে করে থাকে যে, রোযা দ্বারা,পেটের শূল বেদনাবৃদ্ধি পায় তাদের এই ধারনা নিতান্ত অবৈজ্ঞানিক। কারন উপবাসেপাকস্থলীর এসিড কমে এবং খেলেই এটা বাড়ে। এই অতি কথাটা অনেকচিকিৎসকই চিন্তা না করে শূল বেদনা রোগীকে রোযা রাখতে নিষেধ করেন।১৭ জন রোযাদারের পেটের রস পরীক্ষা করে দেখা গেছে যে, যাদেরপাকস্থলীতে এসিড খুব বেশী বা খুব কম, রোযার পরে তাদের এই উভয়দোষই সেরে গেছে। এই গবেষণায় আরও প্রমাণিত হয় যে, যারা মনে করেনযে, রোযার দ্বারা রক্তের পটাশিয়াম কমে যায় এবং তাদের শরীরের ক্ষতিসাধন হয়, তাদের এই ধারণা ও অমূলক। কারন পটাশিয়াম কমার প্রতিক্রিয়াকম দেখা দিয়ে থাকে হৃদপিন্ডের উপর অথচ
১১ জন রোযাদারের হৃদপিন্ড অত্যাধুনিক ইলেক্ট্রোকার্ডিগ্রাম যন্ত্রের সাহায্যে( রোযার পূর্বেও রোযা রাখার ২৫ দিন পর) পরীক্ষা করে দেখা গেছে যে,রোযা দ্বারা এদের হৃদপিন্ডের ক্রিয়ার কোন ব্যতিক্রম ঘটেনি।
হে আল্লাহ যেভাবে রোজা পালন করলে তুমি আমাদের উপর সন্তুষ্ট হবেআমাদের সবাইকে সেভাবে রমজানের রোযা পালন করার তৌফিক দানকরুন। আমীন।
হে আল্লাহ যেভাবে রোজা পালন করলে তুমি আমাদের উপর সন্তুষ্ট হবেআমাদের সবাইকে সেভাবে রমজানের রোযা পালন করার তৌফিক দানকরুন। আমীন।
রোজা কাদের জন্য ফরজ
রোজা ৮ শ্রেণী মানুষের ওপর ফরজ।
১. মুসলমান হওয়া। মুসলিম ব্যক্তির জন্য রোজা রাখা ফরজ। রোজা কোনঅমুসলিমের জন্য ফরজ নয়।
২. বালেগ হওয়া। নাবালগের ওপর রোজা ফরজ নয়, অর্থাৎ ১২ বৎসরবয়সের কম বয়স হলে রোজা ফরজ হবেনা।
৩. সুস্থব্যক্তি হওয়া। শারীরিক ভাবে অসুস্থ ব্যক্তির জন্য রোজা রাখার নিয়মনাই। তবে সাধারন অসুখ বিসুখ হলে যদি সে রোজা রাখার উপযোগী হয়তবে সে রোজা রাখতে পারবে।
৪.সুস্থ মস্তিস্কের অধিকারী হওয়া। পাগলের ওপর রোজা ফরজ নয়।
৫.স্বাধীন হওয়া। পরাধীন নয় এমন ব্যক্তি হওয়া।
৬.সজ্ঞান হওয়া। অর্থাৎ যিনি রোজা রাখবেন তিনি নিজ জ্ঞানে বা স্বেচ্ছায়আল্লাহর হুকুম পালন করবেন।
৭.মুকিম হওয়া। অর্থাৎ স্তায়ীবাসিন্দা হওয়া। মুসাফিরের ওপর রোজাফরজের ব্যপারে একটু ভিন্নতা আছে। যেমন কষ্টসাধ্য ভ্রমন হলে পরবর্তীতেরোজা আদায়ের বিধান আছে। আমি মনে করি বর্তমানে সফর অনেকআরামের সাথে করা যায় তাই সফর অবস্থায় একমাত্র কাহিল হয়ে নাপড়লে রোজা রাখা উচিৎ।
১. মুসলমান হওয়া। মুসলিম ব্যক্তির জন্য রোজা রাখা ফরজ। রোজা কোনঅমুসলিমের জন্য ফরজ নয়।
২. বালেগ হওয়া। নাবালগের ওপর রোজা ফরজ নয়, অর্থাৎ ১২ বৎসরবয়সের কম বয়স হলে রোজা ফরজ হবেনা।
৩. সুস্থব্যক্তি হওয়া। শারীরিক ভাবে অসুস্থ ব্যক্তির জন্য রোজা রাখার নিয়মনাই। তবে সাধারন অসুখ বিসুখ হলে যদি সে রোজা রাখার উপযোগী হয়তবে সে রোজা রাখতে পারবে।
৪.সুস্থ মস্তিস্কের অধিকারী হওয়া। পাগলের ওপর রোজা ফরজ নয়।
৫.স্বাধীন হওয়া। পরাধীন নয় এমন ব্যক্তি হওয়া।
৬.সজ্ঞান হওয়া। অর্থাৎ যিনি রোজা রাখবেন তিনি নিজ জ্ঞানে বা স্বেচ্ছায়আল্লাহর হুকুম পালন করবেন।
৭.মুকিম হওয়া। অর্থাৎ স্তায়ীবাসিন্দা হওয়া। মুসাফিরের ওপর রোজাফরজের ব্যপারে একটু ভিন্নতা আছে। যেমন কষ্টসাধ্য ভ্রমন হলে পরবর্তীতেরোজা আদায়ের বিধান আছে। আমি মনে করি বর্তমানে সফর অনেকআরামের সাথে করা যায় তাই সফর অবস্থায় একমাত্র কাহিল হয়ে নাপড়লে রোজা রাখা উচিৎ।
৮.তাহীরা অর্থাৎ পবিত্রতা হায়েজ-নেফাস মুক্ত হতে হবে।
যাদের উপর রোযা ফরজ নাঃ দশ প্রকার মানুষেরজন্য রোযা ফরজ না
১. কাফের বা অমুসলিম। কারণ তারা ইবাদত করার যোগ্যতা রাখে না।ইবাদত করলেও ইসলামের অবর্তমানে তা সহি হবে না, কবুলও হবে না। যদিকোন কাফের রমজানে ইসলাম গ্রহণ করে তবে পিছনের সিয়ামের কাজাআদায় করতে হবে না।
২. অপ্রাপ্ত বয়স্ক। অপ্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তি প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত তার সিয়ামপালন ফরজ নয়।
৩. পাগল। পাগল বলতে বুঝায় যার জ্ঞান-বুদ্ধি লোপ পেয়েছে। যার কারণেভাল-মন্দের মাঝে পার্থক্য করতে পারে না। এর জন্য সিয়াম পালন ফরজনয়। যেমন পূর্বের হাদিসে উলে¬খ করা হয়েছে। পাগল যখনই সুস্থ হয়ে যাবেতখনই সে সিয়াম পালন শুরু করে দেবে। যদি এমন হয় যে দিনের কিছুঅংশ সে সুস্থ থাকে কিছু অংশ অসুস্থ তাহলে সুস্থ হওয়া মাত্রই সে পানাহারথেকে বিরত থাকবে। সিয়াম পূর্ণ করবে। পাগলামি শুরু হলেই তার সিয়ামভঙ্গ হবে না, যদি না সে সিয়াম ভঙ্গের কোন কাজ করে।
৪.অশীতিপর বৃদ্ধ যে ভাল-মন্দের পার্থক্য করতে পারে না । এ ব্যক্তি যারবয়সের কারণে ভাল-মন্দ পার্থক্য করার অনুভূতি চলে গেছে সে শিশুরমতই। শিশু যেমন শরিয়তের নির্দেশমুক্ত তেমনি সেও। তবে অনুভূতি ফিরেআসলে সে পানাহার থেকে বিরত থাকবে। যদি তার অবস্থা এমন হয় যেকখনো অনুভূতি আসে আবার কখনো চলে যায় তবে অনুভূতি থাকাকালীনসময়ে তার উপর সালাত, সিয়াম ফরজ হবে।
৫.যে ব্যক্তি সিয়াম পালনের সামর্থ্য রাখে না। এমন সামর্থ্যহীন অক্ষম ব্যক্তিযার সিয়াম পালনের সামর্থ্য ফিরে আসার সম্ভাবনা নেই। যেমন অত্যধিকবৃদ্ধ অথবা এমন রোগী যার রোগ মুক্তির সম্ভাবনা নেই—আল্লাহ্র কাছেআমরা এ ধরনের রোগ-ব্যাধি থেকে আশ্রয় চাই। এ ধরনের লোকদের সিয়ামপালন জরুরি নয়। কারণ সে এ কাজের সামর্থ্য রাখে না।
৬.মুসাফির। মুসাফিরের জন্য সিয়াম পালন না করা জায়েজ আছে।সফরকে যেন সিয়াম পালন না করার কৌশল হিসেবে ব্যবহার না করা হয়।
৭.যে রোগী সুস্থ হওয়ার আশা রাখে।
৮. যে নারীর মাসিক চলছে। ঋতুকালীন সময়ে নারীর জন্য সওম পালনজায়েজ নয় বরং নিষেধ।
৯. গর্ভবতী ও দুগ্ধ দানকারী নারী। যদি গর্ভবতী বা দুগ্ধ দানকারী নারীসিয়ামের কারণে তার নিজের বা সন্তানের ক্ষতির আশঙ্কা করে তবে সেসিয়াম ভঙ্গ করতে পারবে। পরে নিরাপদ সময়ে সে সিয়ামের কাজা আদায়করে নিবে।
১০. যে অন্যকে বাঁচাতে যেয়ে সিয়াম ভেঙে ফেলতে বাধ্য হয়। যেমন কোনবিপদগ্রস্ত ব্যক্তি ; পানিতে পড়ে যাওয়া মানুষকে অথবা আগুনে নিপতিতব্যক্তিকে কিংবা বাড়িঘর ধসে তার মাঝে আটকে পড়া মানুষকে উদ্ধারকরতে যেয়ে সিয়াম ভঙ্গ করল।
যে সকল কারনে রোযা ভঙ্গ হয়
১। রোযা স্মরণ থাকা অবস্থায় পানাহার করা কিংবা স্ত্রী সহবাস করা।এতেকাযা ও কাফফারা (একাধারে দুই মাস রোযা রাখা) ওয়াজিব হয়।
২। নাকে বা কানে তেল, ষধ ইত্যাদি প্রবেশ করানো।
৩। নস্যি গ্রহণ করা।
৪। ইচ্ছকৃতভাবে মুখ ভরে বমি করা।
৫। বমি আসার পর তা গিলে ফেলা।
৬। কুলি করার সময় বা যে কোন ভাবে পানি গলার ভিতরে ঢুকে পড়া।
৭। দাঁতে আটকে থাকা ছোলা বা তার চেয়ে বড় ধরনের খাদ্যকণা গিলেফেলা।
৮। মুখে পান রেখে ঘুমিয়ে পড়া অবস্তায় সুবহে সাদেকের পর জাগ্রত হওয়া।
৯। ধুমপান করা।
১০। রাত্র মনে করে সুবহে সাদেকের পর সাহরী খাওয়া।
১১। সূর্যাস্তের পূর্বে সূর্য অস্তমিত হয়েছে ভেবে ইফতার করা। এগুলোতে শুধুকাযা (যে কয়টা ভাংবে সে কয়টা পরবর্তিতে রাখতে হবে)ওয়াজিব হয় ।কাফফারা নয় ।কিনতু রোযা ভেঙ্গে যাওয়ার পর দিনের অবশিষ্ট সময়রোযাদারের ন্যায় পানাহার ইত্যাদি থেকে বিরত থাকা উচিৎ।
যে সকল কারনে রোযা মাকরুহ হয়
১। মিথ্যা কথা বলা।
২। গীবত বা চোগলখোরী করা।
৩। গালাগালি ও ঝগড়া ফাসাদ করা।
৪। সিনেমা দেখা বা অন্য কোন কবিরাহ গুনাহে লিপ্ত হওয়া।
৫। সারাদিন নাপাক অবস্থায় থাকা।
৬। রোযার কারনে অস্থিরতা বা কাতরতা প্রকাশ করা।
৭। কয়লা, মাজন, টুথ পাউডার, টুথ পেষ্ট বা গুল দিয়ে দাঁত মাজা।
৮। অনর্থক কোন জিনিস মুখের ভিতর দিয়ে রাখা।
৯। অহেতুক কোন জিনিস চিবানো বা চেখে দেখা।
১০। কুলি করার সময় গড়গড়া করা।
১১। নাকের ভিতর পানি টেনে নেয়া (কিন্তু সে পানি গলায় পৌছে গেলেরোযা ভেঙ্গে যাবে)
১২। ইচ্ছকৃতভাবে মুখে থু থু জমা করে গিলে ফেলা ।
১৩। ইচ্ছকৃতভাবে অল্প বমি করা
২। গীবত বা চোগলখোরী করা।
৩। গালাগালি ও ঝগড়া ফাসাদ করা।
৪। সিনেমা দেখা বা অন্য কোন কবিরাহ গুনাহে লিপ্ত হওয়া।
৫। সারাদিন নাপাক অবস্থায় থাকা।
৬। রোযার কারনে অস্থিরতা বা কাতরতা প্রকাশ করা।
৭। কয়লা, মাজন, টুথ পাউডার, টুথ পেষ্ট বা গুল দিয়ে দাঁত মাজা।
৮। অনর্থক কোন জিনিস মুখের ভিতর দিয়ে রাখা।
৯। অহেতুক কোন জিনিস চিবানো বা চেখে দেখা।
১০। কুলি করার সময় গড়গড়া করা।
১১। নাকের ভিতর পানি টেনে নেয়া (কিন্তু সে পানি গলায় পৌছে গেলেরোযা ভেঙ্গে যাবে)
১২। ইচ্ছকৃতভাবে মুখে থু থু জমা করে গিলে ফেলা ।
১৩। ইচ্ছকৃতভাবে অল্প বমি করা
যে সকল কারনে রোযার ক্ষতি হয় না
১। ভুলক্রমে পানাহার করা।
২। আতর সুগন্ধি ব্যবহার করা বা ফূল ইত্যাদির ঘ্রাণ নেওয়া।
৩। নিজ মুখের থু থু কফ গিলে ফেলা।
৪। মাথা ,শরীর বা মুখে তেল, ক্রিম ,লোশন ইত্যাদি ব্যবহার করা।
৫। ঠান্ডার জন্য গোসল করা।
৬। ঘুমে স্বপ্নদোষ হওয়া।
৭। মিসওয়াক করা।
৮। অনিচ্ছকৃতভাবে বমি হওয়া।
৯। চোখে ওষধ , সুরমা বা ড্রপ ব্যবহার করা।
১০। ইনজাকশন নেয়া( খুবই জরুরি হলে)।
১১। অনিচ্ছাকৃতভাবে গলায় মশা, মাছি, ধোঁয়া বা ধুলাবালি প্রবেশ করা।
১২। অনিচ্ছাকৃতভাবে কানে পানি প্রবেশ করা।
২। আতর সুগন্ধি ব্যবহার করা বা ফূল ইত্যাদির ঘ্রাণ নেওয়া।
৩। নিজ মুখের থু থু কফ গিলে ফেলা।
৪। মাথা ,শরীর বা মুখে তেল, ক্রিম ,লোশন ইত্যাদি ব্যবহার করা।
৫। ঠান্ডার জন্য গোসল করা।
৬। ঘুমে স্বপ্নদোষ হওয়া।
৭। মিসওয়াক করা।
৮। অনিচ্ছকৃতভাবে বমি হওয়া।
৯। চোখে ওষধ , সুরমা বা ড্রপ ব্যবহার করা।
১০। ইনজাকশন নেয়া( খুবই জরুরি হলে)।
১১। অনিচ্ছাকৃতভাবে গলায় মশা, মাছি, ধোঁয়া বা ধুলাবালি প্রবেশ করা।
১২। অনিচ্ছাকৃতভাবে কানে পানি প্রবেশ করা।
সংগৃহীতঃ সোলাইমান ওয়ার্ল্ড
No comments
Leave a comment to inspire us.