Header Ads

তারাবীর নামাজ ৮ রাকাত নাকি ২০ রাকাত ??? তারাবীর নামাজের নিয়ম ।

তারাবীহ নামাজের হুকুমঃ
রমজান মাসের এশার নামাজের পর ২০ রাকায়াত সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ নামাজকেতারাবীহ নামাজ বলা হয়। তারাবী শব্দটি আরবী  তারাবীহাহ্ তার বহুবচনযার অর্থক্ষনিক বিশ্রাম। রমজানের এই নামাজে প্রতি  রাকায়াতের পরে কিছু সময় অর্থাৎ রাকায়াত নামাজের সম পরিমান সময় বিলম্ব  বিশ্রামের নিয়ম থাকায়  নামাজেনামকরণ তারাবীহ করা হয়েছে 
তারাবীহ নামাজের ফজিলতঃ
রাসূল (সাঃবলেন, "(হে আমার উম্মতগন), তোমরা জেনে রেখ আল্লাহ তোমাদেরউপর রমজানের রোজা ফরজ করেছেন এবং উহার রাত্রে তারাবীহের নামাজ সুন্নাতকরেছেন। অতএবযে ব্যক্তি খালেস নিয়তে ঈমানের সাথে কেবল সোয়াবের আশায় মাসে দিনের বেলায় রীতিমত রোজা রাখবে এবং রাত্রিতে রীতিমত তারাবীহেরনামাজ পড়বে তার বিগত সব সগীরা গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে।অতএব পবিত্রমাসে অধিক নেকী অর্জন করে লওয়া উচিৎ।  মাসের একটি ফরজ অন্য মাসের৭০টি ফরজের সমান নেকী পাওয়া যায়।
তারাবীহ নামাজের সময়ঃ
যে রাতে রমজানের চাঁদ দেখা যাবে সে রাত থেকে তারাবীহ নামাজ শুরু করতে হবে।ঈদুল ফিতরের চাঁদ দেখা গেলে তারাবীহ বন্ধ করতে হবে। তারাবী নামাজের সময়এশার নামাজের পর থেকে শুরু হয় এবং ফজরের সময় হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত থাকে যদি কী এশার নামাজের পূর্বে তারাবী পড়ে তাহলে তারাবী হবে না। (দুররুল মুখতার)
ইতিমধ্যে কিছু ভাই ছড়ানো শুরু করছে যে,তারাবীর নামাজ  রাকাত এবং যারা ২০রাকাত পড়ে তারা ভ্রান্ত আসুন আমরা দেখে নেই কে ভ্রান্ত আর কে হক্ব 
তারাবীহ নামাযেত সঠিক নিয়মঃ 
তারাবীহ নামাজ ২০ রাকআত। যারা বলে  রাকাআত তাদের বক্তব্য সঠিক নয় মুলত ধর্মপ্রান সাধারন মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির লক্ষে আহলে হাদীস বালামাজহাবী সম্প্রদায়  রাকাআত তারাবীহ এই মতামতের নেতৃত্ব দিয়ে থাকে  সংশয়নিরসনের জন্য  রাকআত বা এসংক্রান্ত বুখারীও মুসলিম শরীফে বর্নিত হাদীস তার সঠিক মর্ম নিম্নে তুলে ধরা হল।
প্রথম হাদীসঃ-আবু সালামা ইবনে আব্দুর রহমান থেকে বর্ণিততিনি আম্মাজানআয়েশা (রাঃকে জিজ্ঞেস করলেনরমজানে রাসুল (সাঃএর নামাজ কেমন ছিল?উত্তরে তিনি বললেনরাসুল (সাঃরমজানে  অন্যান্য মাসে বিতির সহ এগাররাকআতের বশী পড়তেন না।(বুখরী শরীফ হাঃ নং ১১৪৭)
দ্বিতীয় হাদীসঃ-ইয়াহইয়া ইবনে আবু সালামা (রঃবলেন আমি রাসুল (সঃএর রাত্রীকালীন নামাজ সম্পর্কে আয়েশা (রাঃকে জিজ্ঞেস করলাম  উত্তরে তিনি বললেন,রাসুল(সঃরাত্রে তের রাকআত নামাজ আদায় করতেন  প্রথমে আট রাকাত পড়তেনএর পর বিতির পড়তেনতার পর দুই রাকত নামাজ বসে আদায় করতেন মুসলিমশরীফহাঃ নং ১৭২৪)
এজাতীয় হাদীস দ্বারা লা মাজহাবী সম্প্রদায়তারাবীহ  রাকাত এর উপর দলীলপেশকরে থাকে।উপরোক্ত হাদীস সমূহের
উত্তরঃ-প্রথম উত্তর: আয়েশা (রাঃথেকে উপরোক্ত হাদীস দুটি যেমনি ভাবে সহীহসনদে বর্ণিত হয়েছে ঠিক তেমনি মুসলিম শরীফেই আয়েশা (রাঃথেকে দশ রাকাতেরহাদীস  বর্ণিত আছে।
যেমন:হাদীসঃ-কাসেম ইবনে মুহাম্মদ থেকে বর্ণিত তিনি বলেন , আমি আয়েশা (রাঃ)কে বলতে শুনেছি যেরাসুল (সাঃরাত্রিতে দশ রাকাত নামাজএক রাকাত বিতির,ফজরের দুই রাকাত সুন্নত সহ মোট ১৩ রাকাত পড়তেন।মুসলিম শরীফহাঃ নং১৭২৭)
এমন কি আয়েশা (রাঃথেকে বর্ণিত হদীস গুলোর প্রতি লক্ষ করলে বোঝা যায় রাসুল(সাঃরাত্রীকালীন নামাজকোন রাত্রীতে ১১ রাকাত ,কখনো১৩ রাকাত কখনো রাকাতআবার কখনো  রাকাত আদায় করতেন  সুতরাং আয়েশা (রাঃএরহাদীস দ্বারা কোন সংখ্যা নির্দিষ্ট করা সম্পুর্ন অযৌক্তিক।
দ্বিতীয় উত্তরঃ-প্রকৃত পক্ষে আয়েশা (রাঃথেকে বর্ণিত হাদীস গুলো তাহাজ্জুদসম্পর্কিত , তারাবীহ সম্পর্কিত নয়  একারনেই হাদীস গ্রন্থাকারগনএজাতীয় হাদীসকেতাহাজ্জুদের অধ্যায়ে উল্লেখ করেছেন , তারাবীর অধ্যায়ে উল্লেখ করেননি।
তৃতীয় উত্তরঃ-আহলে হাদীসগন তারাবী  রাকাত হওয়ার স্বপক্ষে যে হাদীসগুলোপেশ করে থাকেনসেঅনুযায়ী তারা নিজেরাই আমল করেন না। কেননা হাদীসেরমজান  অন্যান্য মাসের কথাও উল্লেখ রয়েছে , অথচ তারা তাদের হাদীস অনুযায়ীঅন্যান্য মাসে তারাবীহ পড়েনা।
বিশ রাকাত তারাবীর দলীল সমুহ: নং হাদীসঃ-সায়ের ইবনে ইয়াজিদ (রাঃথেকেবর্ণিত তিনি বলেন সাহাবা গন উমর (রাঃএর খেলাফত কালে রমজান মাসে বিশরাকাত তারাবীহ পড়তেন (বাইহাকী শরীফ-খঃ /৪৯৬ হাঃ নং ৪৬১৭)
 নং হাদীসঃ-ইয়াজিদ ইবনে রুমান (রাঃথেকে বর্ণিত তিনি বলেনঃহযরত উমর(রাঃএর যুগে সাহাবারা বিতির সহ তেইশ রাকাত তারাবীহ পড়তেন  (মুয়াত্তা মালেকখঃ ১পৃঃ ১১৫)
 নং হাদীসঃ-আতা ইবনে আবী রাবাহ (রাঃথেকে বর্ণিত তিনি বলেন আমিসাহাবাদেরকে বিতির সহ তেইশ রাকাত তারাবী পড়তে দেখেছি মুসান্নাফে ইবনে আবিশায়বা – /২২৪)(উল্লেখিত সবগুলো হাদীস সহীহ)এছাড়াও অসংখ্য হাদীস দ্বারাএকথা সুস্পষ্ট রুপে প্রমানিত হয় যেতারাবীহ নামাজ ২০ রাকাত যার উপর খোলাফয়েরাশেদীন ,সমস্ত সাহাবা , তাবেইতাবে তাবেইসালফে সালেহীন গনঐক্যমতেআমল করেছেন। এবং চার মাজহাবের ইমাম গনও  ব্যাপারে ঐক্যমত পোষনকরেছেন সুতরাং যারা  রাকাত তারাবীর কথা বলেন ,তারা মুলতসরলমনামুসলমানদের অন্তরে বিভ্রান্তির বিষ ঢেলে ইসলামকে বিতর্কিত করতে চান।আল্লাহতায়ালা আমাদের সঠিক বুঝ দান করুক। আমিন
তারাবীর নামাজে দ্রুত ক্বিরাত পড়া প্রসঙ্গেঃ
তারাবীহ নামাজে ক্বিরাআত দ্রুত পড়তে হবেএমন কোন বিধান নেই। অন্যান্যনামাজের ন্যায় তারাবীহ নামাজেও মাদগুন্নাহমাখরাজ ঠিক রেখে তারতীলের সাথেক্বিরআত পড়তে হবে। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়আমাদের দেশে অধিকাংশমসজিদে এই নিয়ম মেনে চলা হয়না। হাফেজে কোরআনগণ এমনভাবে তেলাওয়াতকরেন যেকোরআনের আয়াতসমুহ স্পষ্ট বোঝা যায়না। এমনকি যে যত দ্রুত পড়তেপারেতাকে তত কৃতিত্ব বা বাহবা দেওয়া হয়। এটি এক ধরনের কোরআন অবমাননাবৈ কিছু নয়। আমাদের আলেম সমাজের একটি বড় অংশকে  ব্যাপারে উদাসীনমনে হয়


 বিঃদ্রঃ-  ইসলামের কোন বিষয় নিয়ে তর্কাতর্কি ইসলামের সমর্থন করে না।


সংগৃহীতঃ সোলাইমান ওয়ার্ল্ড

No comments

Leave a comment to inspire us.

Powered by Blogger.