পৃথিবী ও মঙ্গল গ্রহে সুড়ঙ্গ খুঁড়ে রাস্তা বানাবেন এলন মাস্ক!
এবার মাস্কের কাজটাই হবে মঙ্গলে বা অন্য কোন গ্রহে শুধু মাটি খোঁড়া আর লম্বা লম্বা সুড়ঙ্গ বানানো! এমনকি আমাদের বাসযোগ্য গ্রহেও।‘স্পেস-এক্স’-এর কর্ণধার সিইও এবং সিটিও এলন মাস্ক মহাকাশের অন্য অন্য গ্রহ-উপগ্রহের মাটি খুঁড়ে লম্বা লম্বা সুড়ঙ্গ বানানোর কর্মযজ্ঞে আগ্রহ প্রকাশ করে গত ১৭ ডিসেম্বর টুইট করেন, এই পৃথিবীতে গাড়িঘোড়া আর জনসংখ্যার চাপে আমি হাঁপিয়ে উঠেছি।
আর পারা যাচ্ছে না! এবার আমি একটা খুব বড়সড় টানেল বোরিং মেশিন বা মাটি খোঁড়ার যন্ত্র বানাতে যাচ্ছি। খুব দ্রুত শুরু করতে যাচ্ছি এ মাটি খোঁড়ার কাজটি।
জানা যায়, মাস্ক মাটি খুঁড়ে সুড়ঙ্গ বানাবেন পৃথিবীতেও। কোন ‘মুখোশ’ না রেখেই মাস্ক একেবারে টুইট করে জানিয়ে দিয়েছেন, তার আগামী পরিকল্পনার কথা।তার সেই নতুন সংস্থার নাম হবে- ‘বোরিং কোম্পানি’। যার কাজ হবে শুধুই গ্রহ-গ্রহান্তরের মাটি খুঁড়ে চলা। আর তারপর ঝপাঝপ লম্বা লম্বা সুড়ঙ্গ বানিয়ে ফেলা।যাতে ধ্বংস বা বসবাসের অযোগ্য হয়ে ওঠার আগেই মানবসভ্যতা সেখানে গিয়ে তার ‘নতুন ডেরা’ খুঁজে নিতে পারে।
এটা অবশ্য একটি সত্যি যে, পৃথিবী থেকে মঙ্গলে যাওয়ার গবেষণায় মগ্নপ্রাণ মাস্ক কী ভাবেই বা পারেন ভূপৃষ্ঠে গাড়িঘোড়া আর জনসংখ্যার চাপের ধকল সইতে? পারেননি মাস্ক। তাই সরাসরি তিনি টুইট করেই জানিয়ে দিলেন, তার আগামী দিনের কর্মযজ্ঞের কথা। আর তিনি যেহেতু এলন মাস্ক, তাই বলছেন যখন, ঘোষণা করে দিয়েছেন যখন, তখন ধরে নেওয়াই যায়, মহাকাশের দিকে দিকে গ্রহে-গ্রহান্তরে এ বার লম্বা লম্বা সুড়ঙ্গ বানানোর কাজ শুরু হল বলে!যিনি দু’তিন বছর আগেই একেবারে সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে জানিয়ে দিয়েছিলেন, ২০২৪ সালের মধ্যেই তিনি মানুষ (মহাকাশচারী) পাঠিয়ে দেবেন ‘লাল গ্রহ’ মঙ্গলে। নাসা কবে মঙ্গলে মহাকাশচারী পাঠাল কি পাঠাতে পারল না, তার ধার ধরতে চান না এলন মাস্ক। তিনি চলেন ‘যেই ভাবা, সেই কাজ’ মন্ত্রে!
No comments
Leave a comment to inspire us.