কাছের দুই গ্রহে প্রাণের সম্ভাবনা
পৃথিবী থেকে মাত্র ৪০ আলোকবর্ষ দূরে পৃথিবীর মতোই তিনটি গ্রহ বিজ্ঞানীরা মাস দুয়েক আগে আবিষ্কার করেছেন- এ খবর ইতিমধ্যে প্রায় সকলেরই জানা।
চমকপ্রদ নতুন খবর হচ্ছে, এই ৩টি গ্রহের মধ্যে ২টি গ্রহে প্রাণের অস্তিত্বের জোড়ালো সম্ভাবনা থাকতে পারে বলে সাম্প্রতিক গবেষণায় প্রমাণ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। পৃথিবীর বাইরে জীবনের সন্ধান পাওয়ার জন্য এর থেকে ভালো সম্ভাবনা এর আগে পাওয়া যায়নি বলে অভিমত বিজ্ঞানীদের।
‘ট্র্যাপিস্ট-১’ নামক একটি বামন নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করছে গ্রহগুলো। লাল রঙের এই বামন নক্ষত্র আমাদের সূর্যের তুলনায় ২ হাজার গুণ অনুজ্জ্বল এবং তাপমাত্রা সূর্যের তুলনায় অর্ধেক আর ভর ১০ ভাগের এক ভাগ। ট্রাপিস্ট-১ আয়তনে বৃহস্পতি গ্রহের তুলনায় কিছুটা বড়ো।
হাবল টেলিস্কোপের মাধ্যমে পর্যবেক্ষণে বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি নিশ্চিত হয়েছেন যে, পৃথিবীর আকারের প্রায় কাছাকাছি আকারের এই পাথুরে গ্রহগুলোর বায়ুমণ্ডলের সঙ্গে পৃথিবী এবং মঙ্গলের বায়ুমণ্ডলের মিল রয়েছে। সূর্য থেকে পৃথিবী যে পরিমাণ রেডিয়েশন পায়, বামন নক্ষত্রটি থেকে চার গুণ বেশি রেডিয়েশন পায় গ্রহগুলো। তারা তাদের নক্ষত্র থেকে পৃথিবীর চেয়ে ৪ গুণ বেশি তেজস্ক্রিয়তা গ্রহণ করে। আর এ কারণেই নতুন এই গ্রহগুলোকে হ্যাবিটেবল বা বাসযোগ্য বলা যায় হচ্ছে।
হ্যাবিটেবল জোন হচ্ছে, কোনো গ্রহের তার নক্ষত্র থেকে দূরত্ব, তাপমাত্রা, পানি থাকার সম্ভাবনা বা প্রাণের উদ্ভব ঘটার সম্ভাব্য অঞ্চল। বিজ্ঞানীরা বলেন, এ তিনটি গ্রহের মধ্যে দুটি নক্ষত্রের কাছাকাছি থাকায় এগুলোতে পৃথিবীর মতোই দিন ও রাত হয়। নক্ষত্রটির অপেক্ষাকৃত কাছের দুটি গ্রহ তার চারিদিকে একবার ঘুরে আসছে পৃথিবীর হিসেবে ১.৫ দিন ও ২.৪ দিনে। আর তৃতীয়টি এখনো কিছুটা অগোছালো তথ্য দিচ্ছে।
বিজ্ঞানীরা এখনো পর্যন্ত যেসব লক্ষণ দেখেছেন, তাতে পৃথিবীর বাইরে এই গ্রহগুলোতেই প্রাণের অস্তিত্ব থাকার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি বলে মনে করছেন। এবং তা পৃথিবীর মতোই বাসযোগ্য হতে পারে, এমন আশাই করছেন। প্রাথমিক গবেষণা শেষে গ্রহগুলো নিয়ে দীর্ঘ গবেষণা শুরু করেছেন বিজ্ঞানীরা।
No comments
Leave a comment to inspire us.