Header Ads

পাইয়ের মান ও ব্যাঙের লিঙ্গ নির্ধারণ

১৮৯৭ সাল।
এডউইন জে. গুডউইন নামে যুক্তরাষ্ট্রের একজন চিকিৎসক ও শৌখিন গণিতবিদ ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজ্যের প্রতিনিধি সভায় একটি প্রস্তাব পেশ করলেন— ২৪৬ নম্বরের এই প্রস্তাবটি গণিতের যুগান্তকারী এক আবিষ্কারের উপর যা সম্প্রতি সম্পাদন করেছেন তিনি।
প্রতিনিধি সভা প্রস্তাবটি পাঠিয়ে দিল জলাভূমি সংক্রান্ত কার্যপরিষদের দপ্তরে। জলাভূমি পরিষদ গভীরভাবে প্রস্তাবটি বিবেচনা করে সিদ্ধান্তে উপনীত হলো, প্রস্তাবটি তাদের এক্তিয়ারে পড়ে না; প্রস্তাবটি তারা পাঠিয়ে দিল শিক্ষা অধিদপ্তরে। শিক্ষা অধিদপ্তরে ৬৭-০ ভোটে প্রস্তাবটি পাশ হয়ে চলে গেল অঙ্গরাজ্যের আইনসভায়।
আইনসভা প্রস্তাবটিকে অনুমোদন দিয়ে ফেলছে, এমন সময় পার্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিতের এক প্রফেসর, যিনি ঘটনাক্রমে অঙ্গরাজ্যের বিজ্ঞান সভায় যোগদান করতে গিয়েছিলেন, প্রস্তাটিতে বাগড়া দিলেন। অনির্দিষ্ট কালের জন্য মূলতুবি হয়ে গেল প্রস্তাব।
কী ছিল যুগান্তকারী প্রস্তাবটিতে?
অনুচ্ছেদ ১: ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজ্যের সাধারণ সভায় ইহা আইননুমোদিত হোক: ইহা আবিষ্কৃত হয়েছে যে, বৃত্তাকার কোনো জায়গার ক্ষেত্রফলের অনুপাত, উহার পরিধির এক চতুর্ভাগের সমান সরল কোনো রেখাংশের উপর দণ্ডায়মান বর্গের ক্ষেত্রফলের সাথে এরূপভাবে অন্বিত, যেরূপভাবে একটি বাহুর উপর কোনো সমবাহু আয়তক্ষেত্রের ক্ষেত্রফলের অনুপাত, উক্ত বাহুর উপর বর্গক্ষেত্রের ক্ষেত্রফলের সাথে অন্বিত।…
উপরের ঘটনাটি পড়তে যাদের কাঠখোট্টা লাগবে, তাদের জন্য ক্ষতিপূরণ হিসেবে নিচের ঘটনা:
বাচ্চাদের স্কুলে জীব বিজ্ঞানের ক্লাস নিচ্ছেন সুন্দরী, অবিবাহিত শিক্ষিকা। বিভিন্ন উদ্ভিদ ও প্রাণীর সাথে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন তাদের। এক জায়গায় কাঁচের পাত্রে জীবন্ত একটি ব্যাঙ রাখা। কৌতূহলী হয়ে সবুজ ব্যাঙটিকে দেখছে বাচ্চারা।
হঠাৎ বাচ্চা একটি মেয়ে বলে উঠল, “এইটা মেয়ে ব্যাঙ।”
“না, এইটা ছেলে ব্যাঙ!” তীব্র চিৎকার দিয়ে উঠল তার সহপাঠি শিশু। বেচারা আবার ছেলে কিনা।
“না, এইটা মেয়ে ব্যাঙ।” ঝাঁপিয়ে পড়তে উন্মুখ মেয়েটি। ছেলেটিও গোঁ ধরে দাঁড়ায়। চিৎকার কোলাহলে ক্লাস ভরে যায় মুহূর্তে। অসহায়ের মতো দাঁড়িয়ে থাকেন শিক্ষিকা, বিবদমান গোষ্ঠিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না কোনোমতে।
হঠাৎ ছোট্ট রবিন হাত তুলে বলল, “আমি জানি কীভাবে মেয়ে ব্যাঙ, ছেলে ব্যাঙ পরীক্ষা করতে হয়।”
লজ্জায় লাল হয়ে উঠে শিক্ষিকার গাল। “কী সর্বনাশ হতে যাচ্ছে, আল্লাহই জানে! কী কুক্ষণে যে এদের পড়াতে রাজী হয়েছিলাম!” শঙ্কায়, ঘামতে ঘামতে ভাবে সে।
“এটি একেবারে সহজ কাজ। চলো আমরা ভোট দেই, এইটা ছেলে না মেয়ে।” ছোট্ট রবিন মীমাংসা করে দেয়।
হা হা হা। মানে সব কিছু ভোটাভুটিতে নির্ধারণ করা মুশকিল আর কি। :)
ইন্ডিয়ানার ঐ গণিতবিদ প্রায় পাশ করিয়ে ফেলেছিলেন যে পাই=৪!
এমনিভাবে ভোটের মাধ্যমে জেন্ডার নিরূপণ করা… :)

No comments

Leave a comment to inspire us.

Powered by Blogger.