হিলিয়াম মুখে নিলে কেন আপনার গলার স্বর অদ্ভূত হয়ে যায়?
প্রশ্নের বিশেষত্বটা পরিষ্কার করা যাক। আপনি যখন কথা বলছেন আর হিলিয়াম মুখে শ্বাস হিসেবে নিয়ে আপনি যখন কথা বলবেন আপনার স্বর বদলে যাবে গলার। দুটো সময়ে আলাদা রকমের শোনা যাবে উৎপন্ন আওয়াজ। নাইট্রোজেন, অক্সিজেন গ্যাসের স্বরের সাথে বড় পার্থক্য করে দেয় হিলিয়াম। হিলিয়ামের সাথে তাদের গ্যাসের ধর্মের পার্থক্য এই পরিবর্তনের জন্য দায়ী।
আদর্শ তাপমাত্রা ও চাপে হিলিয়াম হোক নাইট্রোজেন হোক সব গ্যাসের সমান আয়তনে সমান সংখ্যক অণু থাকে, কিন্তু ভর সমান থাকে না। নাইট্রোজেন বা স্বাভাবিক বায়ু মোটামুটিভাবে হিলিয়ামের চেয়ে সাতগুণ ভারী। অধিক ঘনত্বের নাট্রোজেনে শব্দতরঙ্গ হিলিয়ামের চেয়ে ধীরে ভ্রমণ করে। নাইট্রোজেন, অক্সিজেন এর অণুগুলো ভারী, তাই আঘাতে এরা নড়াচড়া করতে আলসেমি করে। সোজা কথায় বেশি ভরের সরণের জন্য যেমন বেশি বল প্রয়োগ করা লাগে তেমনি হিলিয়ামের সাপেক্ষে এরা তো ভারী গ্যাস। এদিকে একই আয়তনে আমরা সমান সংখ্যক হিলিয়াম অণু পাচ্ছি, তাই হিলিয়াম বেশি লাফালাফি করতে পারবে।
২০ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় যেখানে নাট্রোজেনে শব্দের বেগ সেকেন্ডে ৩৪৪ মিটার সেখানে হিলিয়ামে শব্দ ছোটে ৯২৭ মিটার প্রতি সেকেন্ডে।
শব্দ তরঙ্গের গঠন আর গতি পদার্থের গুণের সাথে তফাৎ করে।
গলায় আওয়াজ তৈরী হয় ভোকাল কর্ডের মাধ্যমে আঘাতের ফলে। আঘাতে বায়ুতে শব্দ তরঙ্গ সঞ্চারিত হয়। একটা ড্রামের পর্দায় আঘাত করলে পর্দাটি কেঁপে উঠে। পর্দা বা চামড়াটি কম্পনের সময় যখন উপরে উঠে, সেটি বায়ুস্তরকে (গ্যাসের অণুগুলোকে) উপরের দিকে ঠেলে দেয়। যখন নিচের দিকে যায়, তখন একটি পিছটান তৈরী হয়, শূন্যতা থেকে। এভাবে ক্রমাগত সংকোচন প্রসারণ ঘটতে থাকে, আর এই সংকোচন প্রসারণের সিরিজটাই শব্দতরঙ্গ। ড্রাম বা ঢোলের ক্ষেত্রে এই যে আঘাত দেয়া লাগছে তেমনি গলার আওয়াজে ভোকাল কর্ড আঘাতের কাজটি করে।
গলায় আওয়াজ তৈরী হয় ভোকাল কর্ডের মাধ্যমে আঘাতের ফলে। আঘাতে বায়ুতে শব্দ তরঙ্গ সঞ্চারিত হয়। একটা ড্রামের পর্দায় আঘাত করলে পর্দাটি কেঁপে উঠে। পর্দা বা চামড়াটি কম্পনের সময় যখন উপরে উঠে, সেটি বায়ুস্তরকে (গ্যাসের অণুগুলোকে) উপরের দিকে ঠেলে দেয়। যখন নিচের দিকে যায়, তখন একটি পিছটান তৈরী হয়, শূন্যতা থেকে। এভাবে ক্রমাগত সংকোচন প্রসারণ ঘটতে থাকে, আর এই সংকোচন প্রসারণের সিরিজটাই শব্দতরঙ্গ। ড্রাম বা ঢোলের ক্ষেত্রে এই যে আঘাত দেয়া লাগছে তেমনি গলার আওয়াজে ভোকাল কর্ড আঘাতের কাজটি করে।
আদর্শ তাপমাত্রা ও চাপে হিলিয়াম হোক নাইট্রোজেন হোক সব গ্যাসের সমান আয়তনে সমান সংখ্যক অণু থাকে, কিন্তু ভর সমান থাকে না। নাইট্রোজেন বা স্বাভাবিক বায়ু মোটামুটিভাবে হিলিয়ামের চেয়ে সাতগুণ ভারী। অধিক ঘনত্বের নাট্রোজেনে শব্দতরঙ্গ হিলিয়ামের চেয়ে ধীরে ভ্রমণ করে। নাইট্রোজেন, অক্সিজেন এর অণুগুলো ভারী, তাই আঘাতে এরা নড়াচড়া করতে আলসেমি করে। সোজা কথায় বেশি ভরের সরণের জন্য যেমন বেশি বল প্রয়োগ করা লাগে তেমনি হিলিয়ামের সাপেক্ষে এরা তো ভারী গ্যাস। এদিকে একই আয়তনে আমরা সমান সংখ্যক হিলিয়াম অণু পাচ্ছি, তাই হিলিয়াম বেশি লাফালাফি করতে পারবে।
২০ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় যেখানে নাট্রোজেনে শব্দের বেগ সেকেন্ডে ৩৪৪ মিটার সেখানে হিলিয়ামে শব্দ ছোটে ৯২৭ মিটার প্রতি সেকেন্ডে।
ড্রাম বা ভায়োলিনের তারের মত আমাদের গলার ভোকাল কর্ডের কম্পাঙ্কও একই থাকে, বায়ুর উপাদান সাপেক্ষে স্বাধীন। কিন্তু কর্ডের চারপাশের বায়ুর উপাদান হিলিয়াম হয়ে গেলে বায়ুর বেগ পরিবর্তন হবে। অর্থাৎ আসলে তরঙ্গদৈর্ঘ্য পরিবর্তিত হবে (যেহেতু কর্ডের কম্পাঙ্ক স্বাধীন)। ভিন্ন তরঙ্গদৈর্ঘ্য মানে ভিন্ন স্বরের আওয়াজ।
ভিন্ন কিছু দেখলে তো একটু আলাদা অনুভূতি লাগেই। তাই না? হিলিয়ামকে শ্বাস নিয়ে গলার স্বর পরিবর্তনের ব্যাপারটি ভৌত ঘটনা। যতক্ষণ হিলিয়াম কণ্ঠনালীতে থাকবে ততক্ষণ এই ইফেক্ট পাওয়া যাবে। এর কারণে আপনার কণ্ঠে কোনো স্থায়ী পরিবর্তন হবে না।
Collected From Internet
No comments
Leave a comment to inspire us.