ডাইনোসরের পূর্বপুরুষ ছিল কুমির!
কুমির ডাইনোসরের আদি বংশধর? |
ডাইনোসরদের বিলুপ্তি ঘটেছে আরো বিলিয়ন বিলিয়ন বছর আগে কিন্তু আজকেও বিজ্ঞানীরা ডাইনোসর সম্পর্কে নানা ধরণের তথ্য আবিষ্কারে মশগুল হয়ে আছেন। নানা ধরণের নতুন নতুন প্রযুক্তি আবিষ্কার হয়েছে যার মাধ্যমে আমরা ডাইনোসরদের সম্পর্কে আরো তথ্য জানতে পারি। এমনই একটি প্রযুক্তি হচ্ছে লেজার স্ক্যান। লেজার স্ক্যানিং এর সাহায্যে বিজ্ঞানীরা ডাইনোসরের ফসিল নিয়ে নানা পরীক্ষা করছেন।
কিন্তু ডাইনোসরদের আগে যেসব প্রাণী পৃথিবীর বুকে বিচরণ করত, তাদের সম্পর্কে আমরা কতটুকু জানি? ‘নেচার’ নামক একটি পত্রিকায় এটি প্রকাশিত হয়েছে যে সরীসৃপ আকৃতির এক ধরণের শাকাহারী ধরণের প্রানী ডাইনোসরদের আগে পৃথিবীতে বিচরণ করত। এটির একটি ফসিলও আবিষ্কার করা হয়েছে যার বৈজ্ঞানিক নাম টেলিওক্র্যাটার রেডিনাস ।
আদিম টেলিওক্র্যাটার আক্রমণ করছে যেভাবে |
ফসিল বিজ্ঞানীরা আগে ভাবতেন যে ডাইনোসরের আগে যারা পৃথিবীতে বিচরণ করত, তারা দেখতে ডাইনোসরের মতই হবে কিংবা তাদের আকৃতি ডাইনোসরদের মতই হবে। কিন্তু পরীক্ষা নিরীক্ষায় প্রমাণ পাচ্ছে যে, ডাইনোসরের আগে যেসব প্রাণী পৃথিবীতে বিচরণ করত, তাদের বেশিরভাগই আজকের আধুনিক জন্তুর মত ছিল এবং এদের কিছু কিছু আজো পৃথিবীতে বিচরণ করছে। এমনই একটি উদাহরণ হচ্ছে- কুমির। সম্প্রতি একটি ফসিল আবিষ্কার করা হয়েছে যেটির কার্বন টেস্টে জানা গিয়েছে, এটি ডাইনোসর যুগের আগের প্রাণী এবং দেখতে অনেকটা আজকের কুমিরের মত।
টেলিওক্র্যাটারদের বংশতালিকা |
রিচার্ড বাটলার নামক একজন ফসিলবিজ্ঞানী বলেন,
“নতুন যে এই প্রাণীটির ফসিল পাওয়া গিয়েছে, এর নাম হচ্ছে টেলিওক্র্যাটার। ডাইনোসরদের গোত্রের প্রাণীরা দেখতে কেমন হয়, এটি সম্পর্কে আমাদের আগের যে ধারণা ছিল তা পরিবর্তন করতে টেলিওক্র্যাটার আমাদের সাহায্য করেছে। ডাইনোসর আসলেই একটি চমৎকার প্রাণী। এটি কোথা থেকে এসেছে, কেমন আচার আচরণ ছিল- তা জানতে চাওয়া দোষের কিছু নয়।’ তিনি আরো বলেন,
“ডাইনোসর সম্পর্কে আমাদের যে পূর্ব ধারণা ছিল তা সম্পূর্ণরুপে টেলিওক্র্যাটার ভেঙ্গে দিয়েছে।”
এখন দেখাই যাক, বিজ্ঞানীরা আরো নতুন কি কি তথ্য আমাদের সামনে হাজির করেন।
সূত্রঃ পপুলার সাইন্স
No comments
Leave a comment to inspire us.