এলান টুরিংয়ের সূর্যমুখী রহস্য
এলান টুরিং |
এলান টুরিং এর নাম শুনেছেন কখনো? তিনি হচ্ছেন গণিতের মাঝে লুকিয়ে থাকা নানা কোড নিয়ে বিশ্লেষণকারী এবং কম্পিউটার বিজ্ঞানের জনক। অক্সফোর্ড ডিকশনারী অফ সায়েন্টিফিক বায়োগ্রাফীতে তাকে আখ্যা দেয়া হয়েছে ‘ব্লেচলি পার্কের মেধাবী লোকি’ নামে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নাযি বাহিনীর নানা কোড ও সংকেত ভাঙার জন্য ব্রিটিশদের একটি গোপন দল ছিল। এলান টুরিং এই দলের সাথে কাজ করতেন।
মানুষের তৈরি করা বিভিন্ন ধাঁধা ছাড়াও এলান টুরিং এর একটি অন্যতম শখ ছিল প্রকৃতি নিয়ে।উদ্ভিদের পাতার বিন্যাস, কোষ ও গাঠনিক উপাদানে তিনি গাণিতিক সন্নিবেশ দেখতে পেতেন।তা নিয়ে বিস্তর আলোচনাও করেছেন তিনি। এই গবেষণাকে বলা হয় ‘ফিলোট্যাক্সিস’।
একটি অসাধারণ উদাহরণ হচ্ছে সূর্যমুখী ফুলের বিন্যাসে ‘ফিবোনাচ্চি ফিলোট্যাক্সিস’ এর বিন্যাস দেখতে পাওয়া যায়। ঘুর্নাকারে এই বিন্যাসে নানা ধরনের গাণিতিক গঠন প্রকৃতি আমরা দেখতে পাই। ঘড়ির কাঁটার দিকে ও ঘড়ির কাঁটার বিপরীতে সাজানো এই বিন্যাস দেখলে আমরা বুঝতে পারি যে গাণিতিক নিয়মের সাহায্যে কি করে প্রকৃতিকে কতটা সুন্দর করে সাজানো যায়। এই সাজানোতে ফিবোনাচ্চি গাণিতিক ধারার অনেক অবদান রয়েছে। এলান মৃত্যুবরণ করেন ১৯৫৪ সালে। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি পৃথিবীতে প্রাকৃতিক ঘটনাগুলো কেন ও কিভাবে ঘটে থাকে তা নিয়ে কাজ করে গিয়েছেন।
কিছু বছর আগে ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয় এলান টুরিং এর মৃত্যুবার্ষিকী স্মরণে একটি গবেষণা কর্মের আয়োজন করেছিল এবং এটির নাম দেয়া হয় “জনসাধারণের বিজ্ঞান বিষয়ক পরীক্ষা’। এলান সূর্যমুখী ফুল নিয়ে নানা কাজ করেছেন এবং এটি নিয়ে তার খুব কৌতুহল থাকায় এই ফুলটিকেই বেছে নেয়া হয়। হাজার হাজার অংশগ্রহণকারী সূর্যমূখী ফুল রোপন করে এবং তারা যখন ফলাফল দেখে তখন তাদের মাঝেও ঠিক একই প্রশ্ন আসে যা এলানের মাথায়ও সে সময় এসেছিল। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে কিছু কিছু ফুলের গঠন ছিল একদম অবিকল ফিবোনাচি সিকুয়েন্সের রুপরেখা ধরে, আবার তাদের মাঝে বেশ কয়েকটি ছিল একেবারেই আলাদা। তারা অন্যরকম একটি প্যাটার্ণ গঠন করেছিল।
মজার কথা হচ্ছে, এলানের এই যে প্রকৃতি নিয়ে এত গবেষণা তা তার ছোটবেলা ঘাটলেই কিন্তু আমরা দেখতে পাই। ছোটবেলাতেই তার হাতে তুলে দেয়া হয়েছিল ‘প্রকৃতির বিস্ময়’ নামক বইটি, যার পাতা উলটে তার মাথায় এসেছিল নানা ধরনের প্রশ্ন। তাই আপনার সন্তানও যদি সূর্যমুখী ফুলের গাঠনিক বিন্যাসের দিকে আগ্রহী হয়, তাহলে তাকে অবশ্যই উৎসাহ দিন। কে জানে হয়ত ভবিষ্যতের এক বিস্ময়কর প্রতিভাবান বিজ্ঞানী তার মাঝেই লুকিয়ে আছে।
মানুষের তৈরি করা বিভিন্ন ধাঁধা ছাড়াও এলান টুরিং এর একটি অন্যতম শখ ছিল প্রকৃতি নিয়ে।উদ্ভিদের পাতার বিন্যাস, কোষ ও গাঠনিক উপাদানে তিনি গাণিতিক সন্নিবেশ দেখতে পেতেন।তা নিয়ে বিস্তর আলোচনাও করেছেন তিনি। এই গবেষণাকে বলা হয় ‘ফিলোট্যাক্সিস’।
একটি অসাধারণ উদাহরণ হচ্ছে সূর্যমুখী ফুলের বিন্যাসে ‘ফিবোনাচ্চি ফিলোট্যাক্সিস’ এর বিন্যাস দেখতে পাওয়া যায়। ঘুর্নাকারে এই বিন্যাসে নানা ধরনের গাণিতিক গঠন প্রকৃতি আমরা দেখতে পাই। ঘড়ির কাঁটার দিকে ও ঘড়ির কাঁটার বিপরীতে সাজানো এই বিন্যাস দেখলে আমরা বুঝতে পারি যে গাণিতিক নিয়মের সাহায্যে কি করে প্রকৃতিকে কতটা সুন্দর করে সাজানো যায়। এই সাজানোতে ফিবোনাচ্চি গাণিতিক ধারার অনেক অবদান রয়েছে। এলান মৃত্যুবরণ করেন ১৯৫৪ সালে। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি পৃথিবীতে প্রাকৃতিক ঘটনাগুলো কেন ও কিভাবে ঘটে থাকে তা নিয়ে কাজ করে গিয়েছেন।
কিছু বছর আগে ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয় এলান টুরিং এর মৃত্যুবার্ষিকী স্মরণে একটি গবেষণা কর্মের আয়োজন করেছিল এবং এটির নাম দেয়া হয় “জনসাধারণের বিজ্ঞান বিষয়ক পরীক্ষা’। এলান সূর্যমুখী ফুল নিয়ে নানা কাজ করেছেন এবং এটি নিয়ে তার খুব কৌতুহল থাকায় এই ফুলটিকেই বেছে নেয়া হয়। হাজার হাজার অংশগ্রহণকারী সূর্যমূখী ফুল রোপন করে এবং তারা যখন ফলাফল দেখে তখন তাদের মাঝেও ঠিক একই প্রশ্ন আসে যা এলানের মাথায়ও সে সময় এসেছিল। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে কিছু কিছু ফুলের গঠন ছিল একদম অবিকল ফিবোনাচি সিকুয়েন্সের রুপরেখা ধরে, আবার তাদের মাঝে বেশ কয়েকটি ছিল একেবারেই আলাদা। তারা অন্যরকম একটি প্যাটার্ণ গঠন করেছিল।
মজার কথা হচ্ছে, এলানের এই যে প্রকৃতি নিয়ে এত গবেষণা তা তার ছোটবেলা ঘাটলেই কিন্তু আমরা দেখতে পাই। ছোটবেলাতেই তার হাতে তুলে দেয়া হয়েছিল ‘প্রকৃতির বিস্ময়’ নামক বইটি, যার পাতা উলটে তার মাথায় এসেছিল নানা ধরনের প্রশ্ন। তাই আপনার সন্তানও যদি সূর্যমুখী ফুলের গাঠনিক বিন্যাসের দিকে আগ্রহী হয়, তাহলে তাকে অবশ্যই উৎসাহ দিন। কে জানে হয়ত ভবিষ্যতের এক বিস্ময়কর প্রতিভাবান বিজ্ঞানী তার মাঝেই লুকিয়ে আছে।
তথ্য সূত্রঃ আইরিশ টাইমস
No comments
Leave a comment to inspire us.