গণিতবিদ
গণিতবিদ আব্রাহাম ডি মোয়েভার, যার নামে রয়েছে জটিল সংখ্যার সবচেয়ে সুন্দর সূত্রগুলোর একটি- ডি মোয়েভারের সূত্র। এই গণিতবিদ ছিলেন এক কর্মপাগল লোক। গণিত নিয়ে বসলে তাঁর খাওয়া ঘুমের হিসেব থাকত না।কিন্তু শরীর তো তার নিজের নিয়মেই চলবে। বয়স বাড়তে লাগল, আর ক্লান্ত হয়ে পড়তে লাগলেন মোয়েভার। একদিন খেয়াল করলেন, তিনি প্রতি দিন আগের দিনের চেয়ে ১৫ মিনিট বেশি ঘুমাচ্ছেন। বুঝতে পারলেন, এবার আর শরীরকে পোষ মানাতে পারবেন না। এই মারণ ঘুম তাঁর জীবন কেড়ে নেবে। নিজের মৃত্যু আসন্ন জানলে কার না খারাপ লাগে? মন হালকা করতে মোয়েভার গেলেন গির্জায়। সেখানে এক কোনায় চুপটি করে বসে রইলেন অনেক ক্ষণ।
গির্জার পাদ্রি ছিলেন মোয়েভারের পুরনো বন্ধু। বন্ধুকে বিষণ্ণ দেখে এগিয়ে গেলেন তিনি।
-“কি খবর বন্ধু, এত মন খারাপ করে বসে আছ কেন?
-“মন তো একটু খারাপ হবেই বল, নিজের মৃত্যুর কথা জানলে তো হৃদয় ব্যাকুল হয়ে উঠবেই”
-“কি বলছ এসব? গণিত নিয়ে এত যে পড়ে থাক, তাতেই পাগল হয়েছ মনে হচ্ছে। কার কখন মরণ হবে সেটা স্রষ্টা ছাড়া কেউ বলতে পারেন না”
-“আমি নিজের মৃত্যুদিন জেনে গেছি বন্ধু, আমি এখন ঠিক ঠিক বলে দিতে পারব আমি কবে মারা যাব”
-“বোকার মত কথা বলো না তো”
উঠে দাঁড়ালেন ডি মোয়েভার, একটু হেসে বললেন,
“কবে মরিব আমি, শুনিয়া রাখ, হে মোর বন্ধুবর
সাল ১৭৫৪, দিন ২৭ নভেম্বর”
ঠিক সেই দিনটিতেই মারা গিয়েছিলেন এই মহান গণিতবিদ, নিজের মৃত্যুকে তিনি বরণ করেছিলেন গণিতের মাধুর্য দিয়ে।
গির্জার পাদ্রি ছিলেন মোয়েভারের পুরনো বন্ধু। বন্ধুকে বিষণ্ণ দেখে এগিয়ে গেলেন তিনি।
-“কি খবর বন্ধু, এত মন খারাপ করে বসে আছ কেন?
-“মন তো একটু খারাপ হবেই বল, নিজের মৃত্যুর কথা জানলে তো হৃদয় ব্যাকুল হয়ে উঠবেই”
-“কি বলছ এসব? গণিত নিয়ে এত যে পড়ে থাক, তাতেই পাগল হয়েছ মনে হচ্ছে। কার কখন মরণ হবে সেটা স্রষ্টা ছাড়া কেউ বলতে পারেন না”
-“আমি নিজের মৃত্যুদিন জেনে গেছি বন্ধু, আমি এখন ঠিক ঠিক বলে দিতে পারব আমি কবে মারা যাব”
-“বোকার মত কথা বলো না তো”
উঠে দাঁড়ালেন ডি মোয়েভার, একটু হেসে বললেন,
“কবে মরিব আমি, শুনিয়া রাখ, হে মোর বন্ধুবর
সাল ১৭৫৪, দিন ২৭ নভেম্বর”
ঠিক সেই দিনটিতেই মারা গিয়েছিলেন এই মহান গণিতবিদ, নিজের মৃত্যুকে তিনি বরণ করেছিলেন গণিতের মাধুর্য দিয়ে।
No comments
Leave a comment to inspire us.