মানুষের চোখ কিভাবে কাজ করে এবং চোখের ত্রুটি
চোখে সমস্যার কারণে আমরা কোন কিছু দেখার সময় অথবা পড়ার সময় সেটা ঝাপসা দেখি। এজন্য ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে আমরা সাধারণত চশমা বা কনট্যাক্ট লেন্স ব্যবহার করে থাকি। চোখে ঝাপসা দেখার কারণ হিসেবে আমরা শুনে থাকি চোখের ফোকাস পয়েন্ট সামনে বা পিছনে চলে আসে। এজন্য চশমা ব্যবহার করে চোখের ফোকাস পয়েন্ট ঠিক করা হয়। কিন্তু মনে কি কখনো প্রশ্ন জেগেছে, এই ফোকাস পয়েন্ট সামনে বা পিছনে সরে আসলে কি হয়?
এ ব্যাপারটি নিয়ে কিছু বলার আগে আমাদের এই চোখ কিভাবে কাজ করে সে সম্পর্কে আমাদের হালকা ধারণা থাকা প্রয়োজন। (এক ঢিলে দুই পাখি মারা যাবে তাহলে– কারণ জানতে গিয়ে চোখ দিয়ে দেখার সিস্টেমটাও জানা হয়ে যাবে।)
চিত্র-২: আলোকরশ্মির চোখে প্রবেশ এবং রেটিনার ফোকাস পয়েন্টে ইমেজ আসা
আমাদের চোখ শুধুমাত্র আলোর উপস্থিতি বা অনুপস্থিতির পার্থক্য করতে পারে। যখন কোনো বস্তু হতে আলো আমাদের চোখে এসে পড়ে, তখন সেই সমান্তরাল আলোক রশ্মি চোখের কর্ণিয়ার (কালো রাজা) ভিতর দিয়ে যেয়ে চোখের লেন্স অতিক্রম করার সময় বিভিন্ন কোণে আপতিত হয় এবং বেঁকে গিয়ে বিভিন্ন দিকে চলে যায়। লেন্সের মধ্য দিয়ে এই বেঁকে যাওয়া আলোক রশ্মি আবার চোখের রেটিনার একটি নির্দিষ্ট বিন্দুতে একত্রিত হয়ে বস্তুটির একটি উল্টো প্রতিবিম্ব তৈরি করে সেখানে ফোকাস করে।
এখানে একটি বিষয় ভালো করে মনে রাখতে হবে, তা হচ্ছে, যে কোনো বস্তু হতে যদি আলো না এসে আমাদের চোখে না পড়ে তাহলে কিন্তু আমরা দেখতে পাব না, আর এই কারণেই আমরা অন্ধকারে একদম দেখতে পাই না।
রেটিনায় দুটি সংবেদী কোষ আছে- রড এবং কোণ। রেটিনার কোণ কোষ রঙ বুঝতে সাহায্য করে আর রডস্ কম আলোতে দেখতে সাহায্য করে। এই রড এবং কোণ কোষ আলোর ফোটনকে ইলেকট্রিক্যাল সিগন্যালে পরিণত করে, এরপর তা অপটিক নার্ভের মধ্য দিয়ে আমাদের মস্তিষ্কে পৌঁছে দেয়। মস্তিষ্কে এই ইলক্ট্রিক্যাল সিগন্যাল ইন্টারপ্রিটেড হয়ে উল্টো ইমেজ হয়ে যায় এবং সেটাই আমরা দেখি। আর এই প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত দ্রুত ঘটে, যা আমরা বুঝতেই পারি না।
রেটিনায় আলোকরশ্মিকে ফোকাস করার ক্ষমতাও রড এবং কোণ কোষের আকৃতির উপর নির্ভর করে। যখন আমরা কোন কিছুর দিকে তাকাই, তখন লেন্সের সাথে সংযুক্ত এক্সটাঅকুলার পেশীগুলো সংকুচিত-প্রসারিত হয়ে লেন্সের আকৃতি পরিবর্তন করে। এর ফলে আমরা চোখ নড়াচড়া করলেও বস্তুটি রেটিনায় ফোকাস পয়েন্টে স্থির থাকে, যার ফলে বস্তুটির অবস্থানের কোন পরিবর্তন ঘটেনা। আর এই কাজটি আমাদের নার্ভাস সিস্টেম দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।
(আরও একটি তথ্য না দিলেই নয়, আমরা যে বিভিন্ন রঙ্গিন বস্তু দেখি তা সম্ভব হয়েছে চোখের রেটিনার রড এবং কোণ কোষের কারণেই৷ রড এবং কোণ কোষের অন্যতম উপাদান হলো ভিটামিন এ৷ এ কারণে ভিটামিন এ-র অভাব হলে রাতকানা রোগ হয়৷)
এখন আসল কথায় আসা যাক। ফোকাস পয়েন্ট সামনে বা পিছনে চলে আসার কারণে সাধারণত আমরা ৪ ধরণের দৃষ্টির সমস্যায় পড়ে থাকি।
মায়োপিয়া বা ক্ষীণদৃষ্টি,
হাইপারোপিয়া বা দূরদৃষ্টি,
অ্যাসটিগম্যাটিসম (Astigmatism),
প্রেসবায়োপিয়া বা চালশে।
মায়োপিয়া বা ক্ষীণদৃষ্টি’র ক্ষেত্রে, আমাদের চোখের ফোকাস পয়েন্ট রেটিনা অতিক্রম করে সামনে চলে আসে। যার ফলে দূরের বস্তু ঝাপসা দেখা যায়,কিন্তু কাছের বস্তু দেখতে সমস্যা হয়না। এর কারণ হিসেবে বলা যায়, চোখের লেন্সের আকার স্বাভাবিকের চেয়ে বেশ বড় হয়ে গেলে অথবা লেন্সের ফোকাস ক্ষমতা অত্যধিক বেড়ে গেলে এমনটা হয়। সেক্ষেত্রে উত্তল লেন্স ব্যবহার করে ফোকাস পয়েন্টকে পিছনে ঠেলে রেটিনায় নিয়ে আসা হয়।
চিত্র-৩: ক্ষীণদৃষ্টির ক্ষেত্রে
হাইপারোপিয়া বা দূরদৃষ্টি’র ক্ষেত্রে, আমাদের চোখের ফোকাস পয়েন্ট রেটিনার পিছনে চলে আসে। এর ফলে দূরের বস্তু দেখতে সমস্যা হয়না,কিন্তু আমরা কাছের বস্তু ঝাপসা দেখি। এক্ষেত্রে লেন্সের আকার স্বাভাবিকের চেয়ে ছোট হয়ে গেলে অথবা লেন্সের ফোকাস ক্ষমতা অত্যধিক কমে গেলে এমনটা হয়। সেক্ষেত্রে অবতল লেন্স ব্যবহার করে ফোকাস পয়েন্টকে সামনে ঠেলে রেটিনায় নিয়ে আসা হয়।
চিত্র-৪: দূরদৃষ্টির ক্ষেত্রে
এখন লেন্সের আকার ছোট-বড় বিভিন্ন কারণেই হতে পারে। খেয়াল করবেন, অত্যধিক আলো অথবা ক্ষীণ আলোতে আমাদের চোখের লেন্স অনেক ছোট হয়ে যায়। আবার যখন রেগে যাই, তখন চোখের লেন্স স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বড় হয়ে যায়। জেনে রাখা ভাল, মানুষের শরীরের একমাত্র অঙ্গ চোখ, যেটি স্বাভাবিকের চাইতে দশগুণ বেশি বড় হতে পারে।
তাছাড়া চোখের আইরিশ যখন প্রসারিত হয়, তখন পিউপিল ছোট হয়ে যায়। আবার আইরিশ সংকুচিত হলে পিউপিল বড় হয়ে যায়। এই পিউপিল লেন্সের ঠিক সামনেই থাকে। এটি আমাদের চোখের ফোকাসিং পাওয়ার নিয়ন্ত্রণ করে। তাই এর ক্ষতি হলেও ফোকাসিং পাওয়ার-এ তারতম্য দেখা দেয়। এছাড়া মানুষের চোখের রং যেমন কালো, বাদামী, নীল – এসব মূলত আইরিশের রং।
অ্যাসটিগম্যাটিসম (Astigmatism) এর ক্ষেত্রে, কর্ণিয়া বা লেন্সের আকার বিকৃত হয়ে গেলে আলো রেটিনার সামনে এবং পিছনে দুটো ফোকাস পয়েন্টে আসে। যার ফলে দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে আসা, একটি জিনিসকে দুটি দেখা এবং মাথাব্যথা হতে পারে।
প্রেসবায়োপিয়া এর ক্ষেত্রে, বয়সজনিত চোখের গঠনগত পরিবর্তনের কারণে চোখের কর্ণিয়া এবং লেন্সের ইলাসটিসিটি বা স্থিতিস্থাপকতা হ্রাস পায়, ফলে লেন্সের প্রয়োজনে (বিশেষ করে কাছের জিনিস দেখার জন্য) আকার পরিবর্তন করার ক্ষমতা কমে যায় এবং কাছের জিনিস ঝাপসা দেখায়।
চোখ নিয়ে অনেক কথাই তো বললাম। সাথে কিছু উপদেশ ফ্রি-তে দিয়ে দেই :
অধিক আলো অথবা ক্ষীণ আলোতে বেশিক্ষণ না থাকা উচিৎ। কারণ সেক্ষেত্রে চোখের উপর অনেক চাপ পড়ে।
অনেকের অভ্যাস থাকে বারবার চোখ ধোয়ার৷ কিন্তু এটা ঠিক না৷ কারণ বারবার চোখ ধুলে চোখের পানির প্রয়োজনীয় উপাদানও ধুয়ে যায়৷ ফলে চোখের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়৷
ভিটামিন এ সমৃদ্ধ টাটকা রঙিন শাক-সবজি,ফলমূল এবং ডিম,দুধ খেতে হবে৷
চোখে কিছু পড়লে রগড়ানো একদম উচিত না৷ পানি দিয়ে ধুতে হবে৷
চোখে কোন প্রকার আঘাত লাগলে ঠান্ডা পানি দিয়ে চোখ ধুতে হবে৷ চোখের আঘাত সাংঘাতিক বিপদ ডেকে আনে৷ তাই দেরী না করে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন৷
ডায়বেটিস থাকলে সুগার নিয়ন্ত্রনের সাথে সাথে অবশ্যই চোখ দেখানো উচিত৷ কেননা ডায়বেটিস চোখের সাংঘাতিক ক্ষতি করে৷
এ ব্যাপারটি নিয়ে কিছু বলার আগে আমাদের এই চোখ কিভাবে কাজ করে সে সম্পর্কে আমাদের হালকা ধারণা থাকা প্রয়োজন। (এক ঢিলে দুই পাখি মারা যাবে তাহলে– কারণ জানতে গিয়ে চোখ দিয়ে দেখার সিস্টেমটাও জানা হয়ে যাবে।)
চিত্র-২: আলোকরশ্মির চোখে প্রবেশ এবং রেটিনার ফোকাস পয়েন্টে ইমেজ আসা
আমাদের চোখ শুধুমাত্র আলোর উপস্থিতি বা অনুপস্থিতির পার্থক্য করতে পারে। যখন কোনো বস্তু হতে আলো আমাদের চোখে এসে পড়ে, তখন সেই সমান্তরাল আলোক রশ্মি চোখের কর্ণিয়ার (কালো রাজা) ভিতর দিয়ে যেয়ে চোখের লেন্স অতিক্রম করার সময় বিভিন্ন কোণে আপতিত হয় এবং বেঁকে গিয়ে বিভিন্ন দিকে চলে যায়। লেন্সের মধ্য দিয়ে এই বেঁকে যাওয়া আলোক রশ্মি আবার চোখের রেটিনার একটি নির্দিষ্ট বিন্দুতে একত্রিত হয়ে বস্তুটির একটি উল্টো প্রতিবিম্ব তৈরি করে সেখানে ফোকাস করে।
এখানে একটি বিষয় ভালো করে মনে রাখতে হবে, তা হচ্ছে, যে কোনো বস্তু হতে যদি আলো না এসে আমাদের চোখে না পড়ে তাহলে কিন্তু আমরা দেখতে পাব না, আর এই কারণেই আমরা অন্ধকারে একদম দেখতে পাই না।
রেটিনায় দুটি সংবেদী কোষ আছে- রড এবং কোণ। রেটিনার কোণ কোষ রঙ বুঝতে সাহায্য করে আর রডস্ কম আলোতে দেখতে সাহায্য করে। এই রড এবং কোণ কোষ আলোর ফোটনকে ইলেকট্রিক্যাল সিগন্যালে পরিণত করে, এরপর তা অপটিক নার্ভের মধ্য দিয়ে আমাদের মস্তিষ্কে পৌঁছে দেয়। মস্তিষ্কে এই ইলক্ট্রিক্যাল সিগন্যাল ইন্টারপ্রিটেড হয়ে উল্টো ইমেজ হয়ে যায় এবং সেটাই আমরা দেখি। আর এই প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত দ্রুত ঘটে, যা আমরা বুঝতেই পারি না।
রেটিনায় আলোকরশ্মিকে ফোকাস করার ক্ষমতাও রড এবং কোণ কোষের আকৃতির উপর নির্ভর করে। যখন আমরা কোন কিছুর দিকে তাকাই, তখন লেন্সের সাথে সংযুক্ত এক্সটাঅকুলার পেশীগুলো সংকুচিত-প্রসারিত হয়ে লেন্সের আকৃতি পরিবর্তন করে। এর ফলে আমরা চোখ নড়াচড়া করলেও বস্তুটি রেটিনায় ফোকাস পয়েন্টে স্থির থাকে, যার ফলে বস্তুটির অবস্থানের কোন পরিবর্তন ঘটেনা। আর এই কাজটি আমাদের নার্ভাস সিস্টেম দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।
(আরও একটি তথ্য না দিলেই নয়, আমরা যে বিভিন্ন রঙ্গিন বস্তু দেখি তা সম্ভব হয়েছে চোখের রেটিনার রড এবং কোণ কোষের কারণেই৷ রড এবং কোণ কোষের অন্যতম উপাদান হলো ভিটামিন এ৷ এ কারণে ভিটামিন এ-র অভাব হলে রাতকানা রোগ হয়৷)
এখন আসল কথায় আসা যাক। ফোকাস পয়েন্ট সামনে বা পিছনে চলে আসার কারণে সাধারণত আমরা ৪ ধরণের দৃষ্টির সমস্যায় পড়ে থাকি।
মায়োপিয়া বা ক্ষীণদৃষ্টি,
হাইপারোপিয়া বা দূরদৃষ্টি,
অ্যাসটিগম্যাটিসম (Astigmatism),
প্রেসবায়োপিয়া বা চালশে।
মায়োপিয়া বা ক্ষীণদৃষ্টি’র ক্ষেত্রে, আমাদের চোখের ফোকাস পয়েন্ট রেটিনা অতিক্রম করে সামনে চলে আসে। যার ফলে দূরের বস্তু ঝাপসা দেখা যায়,কিন্তু কাছের বস্তু দেখতে সমস্যা হয়না। এর কারণ হিসেবে বলা যায়, চোখের লেন্সের আকার স্বাভাবিকের চেয়ে বেশ বড় হয়ে গেলে অথবা লেন্সের ফোকাস ক্ষমতা অত্যধিক বেড়ে গেলে এমনটা হয়। সেক্ষেত্রে উত্তল লেন্স ব্যবহার করে ফোকাস পয়েন্টকে পিছনে ঠেলে রেটিনায় নিয়ে আসা হয়।
চিত্র-৩: ক্ষীণদৃষ্টির ক্ষেত্রে
হাইপারোপিয়া বা দূরদৃষ্টি’র ক্ষেত্রে, আমাদের চোখের ফোকাস পয়েন্ট রেটিনার পিছনে চলে আসে। এর ফলে দূরের বস্তু দেখতে সমস্যা হয়না,কিন্তু আমরা কাছের বস্তু ঝাপসা দেখি। এক্ষেত্রে লেন্সের আকার স্বাভাবিকের চেয়ে ছোট হয়ে গেলে অথবা লেন্সের ফোকাস ক্ষমতা অত্যধিক কমে গেলে এমনটা হয়। সেক্ষেত্রে অবতল লেন্স ব্যবহার করে ফোকাস পয়েন্টকে সামনে ঠেলে রেটিনায় নিয়ে আসা হয়।
চিত্র-৪: দূরদৃষ্টির ক্ষেত্রে
এখন লেন্সের আকার ছোট-বড় বিভিন্ন কারণেই হতে পারে। খেয়াল করবেন, অত্যধিক আলো অথবা ক্ষীণ আলোতে আমাদের চোখের লেন্স অনেক ছোট হয়ে যায়। আবার যখন রেগে যাই, তখন চোখের লেন্স স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বড় হয়ে যায়। জেনে রাখা ভাল, মানুষের শরীরের একমাত্র অঙ্গ চোখ, যেটি স্বাভাবিকের চাইতে দশগুণ বেশি বড় হতে পারে।
তাছাড়া চোখের আইরিশ যখন প্রসারিত হয়, তখন পিউপিল ছোট হয়ে যায়। আবার আইরিশ সংকুচিত হলে পিউপিল বড় হয়ে যায়। এই পিউপিল লেন্সের ঠিক সামনেই থাকে। এটি আমাদের চোখের ফোকাসিং পাওয়ার নিয়ন্ত্রণ করে। তাই এর ক্ষতি হলেও ফোকাসিং পাওয়ার-এ তারতম্য দেখা দেয়। এছাড়া মানুষের চোখের রং যেমন কালো, বাদামী, নীল – এসব মূলত আইরিশের রং।
অ্যাসটিগম্যাটিসম (Astigmatism) এর ক্ষেত্রে, কর্ণিয়া বা লেন্সের আকার বিকৃত হয়ে গেলে আলো রেটিনার সামনে এবং পিছনে দুটো ফোকাস পয়েন্টে আসে। যার ফলে দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে আসা, একটি জিনিসকে দুটি দেখা এবং মাথাব্যথা হতে পারে।
প্রেসবায়োপিয়া এর ক্ষেত্রে, বয়সজনিত চোখের গঠনগত পরিবর্তনের কারণে চোখের কর্ণিয়া এবং লেন্সের ইলাসটিসিটি বা স্থিতিস্থাপকতা হ্রাস পায়, ফলে লেন্সের প্রয়োজনে (বিশেষ করে কাছের জিনিস দেখার জন্য) আকার পরিবর্তন করার ক্ষমতা কমে যায় এবং কাছের জিনিস ঝাপসা দেখায়।
চোখ নিয়ে অনেক কথাই তো বললাম। সাথে কিছু উপদেশ ফ্রি-তে দিয়ে দেই :
অধিক আলো অথবা ক্ষীণ আলোতে বেশিক্ষণ না থাকা উচিৎ। কারণ সেক্ষেত্রে চোখের উপর অনেক চাপ পড়ে।
অনেকের অভ্যাস থাকে বারবার চোখ ধোয়ার৷ কিন্তু এটা ঠিক না৷ কারণ বারবার চোখ ধুলে চোখের পানির প্রয়োজনীয় উপাদানও ধুয়ে যায়৷ ফলে চোখের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়৷
ভিটামিন এ সমৃদ্ধ টাটকা রঙিন শাক-সবজি,ফলমূল এবং ডিম,দুধ খেতে হবে৷
চোখে কিছু পড়লে রগড়ানো একদম উচিত না৷ পানি দিয়ে ধুতে হবে৷
চোখে কোন প্রকার আঘাত লাগলে ঠান্ডা পানি দিয়ে চোখ ধুতে হবে৷ চোখের আঘাত সাংঘাতিক বিপদ ডেকে আনে৷ তাই দেরী না করে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন৷
ডায়বেটিস থাকলে সুগার নিয়ন্ত্রনের সাথে সাথে অবশ্যই চোখ দেখানো উচিত৷ কেননা ডায়বেটিস চোখের সাংঘাতিক ক্ষতি করে৷
No comments
Leave a comment to inspire us.