অপটিক্যাল মাউস কিভাবে কাজ করে?
অপটিক্যাল মাউস কি এবং মেকানিক্যাল মাউসের অসুবিধা
আলোক রশ্মি ব্যবহার করে অপটিক্যাল মাউসের নড়াচড়া সংক্রান্ত তথ্য তৈরি করে কম্পিউটারের পাঠানো হয়। পুরনো দিনের মেকানিক্যাল মাউসের ভেতরেও এলইডি ছিল। কিন্তু মাউসের নিচে একটি বল থাকতো যেটির ঘূর্ণনের মাধ্যমে মাউসের নড়াচড়া সংক্রান্ত তথ্য তৈরি করে কম্পিউটারে পাঠানো হত। ময়লা জমে অকার্যকর হয়ে পড়ার কারণে কিছু দিন পর পর এসব মাউস পরিষ্কার করতে হত। অপটিক্যাল মাউসে বল না থাকায় ময়লা জমার সমস্যা নেই। মেকানিক্যাল মাউস নরম পৃষ্ঠের ওপর কাজ করতে পারত না, প্যাডের ওপর রেখে ব্যবহার করতে হত। কিন্তু ইদানীংকালের অপটিক্যাল মাউস প্রায় সব ধরনের পৃষ্ঠে (স্বচ্ছ পৃষ্ঠ ছাড়া) কাজ করতে পারে।
অপটিক্যাল মাউসের কার্যনীতি
শুন্যতম সেকেন্ডে তোলা ছবি
একে একটি উচ্চগতির ভিডিও ক্যামেরার সাথে তুলনা করা যায়। একটি লাইট ইমিটিং ডায়োড থেকে প্রোজেক্টরের মত করে পৃষ্ঠের ওপর আলো ফেলা হয় আর পৃষ্ঠ থেকে প্রতিফলিত হয়ে আসা আলো ক্যামেরার মত করেই একটি প্লাস্টিকের লেন্সের মাধ্যমে অর্ধপরিবাহী সেন্সরের ওপর এসে পড়ে। প্রতি সেকেন্ডে ১৫০০ ছবি তোলা হয়। পরপর তোলা এসব ছবি ইমেজ প্রসেসরের মাধ্যমে তুলনা করে মাউস কোন দিকে কতটা নড়েছে সেটি নির্ধারণ করা হয় আর এ তথ্য পাঠিয়ে দেয়া হয় কম্পিউটারে। এ তথ্যের ওপর ভিত্তি করেই কম্পিউটারের পর্দায় কার্সর নড়াচড়া করে। ইমেজ প্রসেসিংয়ের কাজটি এতটাই দ্রুত হয় যে মাউসকে প্রতি সেকেন্ডে ১৬ থেকে ৪০ ইঞ্চি পর্যন্ত সরালেও এটি ঠিকমত কাজ করে। এমনকি মাউস উপুড় করে এর ওপর হাত নাড়ালেও মাউসে কার্সর নড়ে যায়।
অপটিক্যাল মাউসের এলইডি যে কারণে লাল
লাল এলইডি তৈরির খরচ সবচেয়ে কম আর সেন্সর বা ফটো-ডায়োড লাল আলোয় সবচেয়ে ভালো কাজ করে। তবে নীল এলইডি ব্যবহার করেও অপটিক্যাল মাউস তৈরি হয়। এছাড়া আরও ভালোভাবে কাজ করার জন্য লেজার রশ্মি ব্যবহার করে কাজ করে এমন অপটিক্যাল মাউসও তৈরি হয়েছে।
No comments
Leave a comment to inspire us.